নরসিংদীতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ঝুঁকিপূর্ন ওভারটেকিং বাড়ছে সড়ক দূর্ঘটনা

নরসিংদীতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ঝুঁকিপূর্ন ওভারটেকিং বাড়ছে সড়ক দূর্ঘটনা

সাইফুল ইসলাম রুদ্র, নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি:

নরসিংদীতে সম্প্রতি সময়ে গুরুত্বপূর্ন ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক জুড়ে যেন ওভারটেকিংয়ের প্রতিযোগিতায় নেমেছে বিশেষ করে লাবিবা পরিবহন সহ হালকা থেকে মাঝারী ও ভারী যানবহনগুলো। ওভারটেকিং এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছে লাবিবা পরিবহন।
কর্মজীবি মানুষেরা তাদের জীবন জীবিকার তাগিদে এক স্থান হতে অন্যস্থানে বিশেষ করে অফিস-আদালত, গুরুত্বপূর্ন সরকারী স্থাপনা বা দপ্তর, সরকারি-বেসরকারী ব্যাংক, বীমা অফিস, সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, বাজার-ঘাটসহ বিভিন্ন স্থানে ছুটাছুটি করে বেড়ায় দিনের অধিকাংশ সময় জুড়ে। নরসিংদী থেকে ঢাকা সহ আবার নরসিংদী থেকে সিলেট মুখী এই গুরুত্বপূর্ন মহাসড়কে হুটহাট যানবাহনের দ্রæতগতিতে ওভারটেকিং বাড়িয়ে তুলছে দূর্ঘটনার চরম শঙ্কা। ট্রাফিক নিয়ম বর্হিভূত চলাচলে বাড়ছে দূর্ঘটনা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় যে, লাবিবা পরিবহন দ্রতগতিতে ওভারটেকিং করতে গিয়ে নরসিংদী ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে একাধিক সড়ক দূর্ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাছাড়া লাবিবা পরিবহন কর্তৃপক্ষকে নগদ অর্থ দিয়ে এ সমস্ত কুকীর্তি ধামাচাপা দিয়ে রাখে বলে অভিযাগ পাওয়া গেছে। বিগত সময়ে এই লাবিবা পরিবহন থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাদক উদ্ধার করেছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। বর্তমানে এই লাবিবা পরিবহনটি বেপরোয়া গতির কারণে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে বলে সাধারণ যাত্রীদের অভিযোগ।
এদিকে আব্দুল জলিল নামে এক ভুক্তভোগীর অভিযোগ, তিনি আজ ৫ ই অক্টোবর ভৈরব থেকে মহাখালী যাওয়ার উদ্দেশ্যে লাবিবা পরিবহন থেকে ২৪০ টাকা দিয়ে একটি টিকেট ক্রয় করেন। কিন্তু লাবিবা পরিবহনের বেপরোয়া গতি এবং দ্রতগতিতে ওভারটেকিংয়ের কারণে আব্দুল জলিল নরসিংদী সাহেপ্রতাব নেমে এই লাবিবা পরিবহনের প্রতি অনেক ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে তিনি পিপিএল দিয়ে মহাখালী চলে যান।
লাবিবা পরিবহন ইচ্ছা স্বাধীন ভাবে ট্রাফিক আইনকে তোয়াক্কা করে ছুটে চলছে এক গন্তব্য স্থান হতে অন্য গন্তব্যস্থানে। সড়কের প্রশস্তার তুলনায় যানবহনের এই পাল্লাপাল্লির কারণেই মূলতঃ দূর্ঘটনার শঙ্কা বাড়ছে। তাছাড়া অপ্রতুল হারে বেড়ে যানবহনগুলো সড়কে খামখেয়ালী করে করছে ওভারটেকিং, আর বিপরীত মুখে ছুটে আসা যানবাহনের সাথে অনেক সময় মুখোমুখি সংঘর্ষে মুহুর্তের মধ্যেই ঘটছে গুরুতর জখমসহ জীবনাশের ঘটনা। যার প্রমাণ লাবিবা পরিবহন বিগত সময়ে দিয়ে এসেছে।
সচেতন মহল এই সকল দূর্ঘটনার কারণ হিসাবে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো, নিয়ম ভঙ্গ করে ওভারলোডিং ও ওভারটেকিং করার প্রবণতা, চালকদের দীর্ঘক্ষণ বিরামহীনভাবে গাড়ি চালানো, ট্রাফিক আইন যথাযথভাবে অনুসরণ না করা, আনফিট গাড়ি চলাচল বন্ধে আইনের যথাযথ প্রয়োগের অভাব , গাড়ির চালকরা গাড়ি চালানোর সময় ফোনে কথা বলে, গান ও শোনে। একই সাথে ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, অদক্ষ ও লাইসেন্সবিহীন চালকের পাল্লা দিয়ে ছুটে চলা দেখে পথচারি সরবে কোথায়? কারণ সড়কের ওপর অবৈধ স্থাপনা, বিভিন্ন প্রকল্পের রাস্তা খোঁড়াখুঁড়িতে সরার বিন্দুমাত্র জায়গা থাকে না। যার বেশ কয়েকটি কারণ লাবিবা পরিবহনের মধ্যে রয়েছে। বিগত সময়ে লাবিবা পরিবহন অদক্ষ চালক দিয়ে গাড়ি চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এদিকে লাবিবা পরিবহনের চেয়ারম্যান জিলু মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এদিকে ভৈরব থানার হাইওয়ে অফিসার ইনচার্জ মোজাম্মেল হক, পিপিএম সংবাদকর্মী সাইফুল ইসলাম রুদ্রকে বলেন, আমরা মাইল মিটার এবং গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে ৭০ থেকে ৮০ উপরে টান থাকলে ঐ পরিবহনেক মামলা দিচ্ছি। আমার ভৈরব হাইওয়ে থানায় প্রতিদিন গড়ে মামলা গতিবিধি সহ আইন শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে ৮-১০ টি করে হচ্ছে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের অবৈধ পরিবহন কর্তৃপক্ষরা যতই ক্ষমতাশালী হোক না কেন আইনের উর্ধ্বে কেউ নয়। রাস্তায় আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ আমরা অবশ্যই ঐ পরিবহনের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নিব।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন